T20 World Cup : টানা ৪ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পাকিস্তান, এই নিয়ে ৫ বার
সেমিফাইনালে ছাড়পত্র পাওয়াই যেখানে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের কাছে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে পাকিস্তান। নামিবিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়ে গ্রুপ ২ থেকে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বাবর আজমের দল। বাকি একটা জায়গার জন্য লড়াই ভারত, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের মধ্যে। এই নিয়ে টানা ৪ ম্যাচ জিতল পাকিস্তান। পাকিস্তানের জয়ের নায়ক অধিনায়ক বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। দুরন্ত ব্যাটিং করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার।চাপের মুখে ভেঙে পড়ার সেই পুরনো রোগ আর নেই এই পাকিস্তান দলের। যার প্রমাণ দিয়েই চলেছেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানরা। আবু ধাবির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। রুবেন ট্রাম্পেলম্যান, ডেভিড উইসে, জ্যাঁ ফ্রাইলিঙ্কেদের দাপটে শুরুতে চাপে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ট্রাম্পেলম্যানদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে শুরুতে জ্বলে উঠতে পারেননি পাকিস্তানের দুই বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ২৯ রান। ৫০ রানে পৌঁছয় ৯ ওভারে। শুরুতে মন্থর ব্যাটিং সত্ত্বেও স্নায়ুচাপে ভোগেননি বাবর মহম্মদ ও মহম্মদ রিজওয়ান। দলের ৫০ রান অতিক্রম হওয়ার পরই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দুই পাক ওপেনার। পরের ৪ ওভারে ওঠে ৫০। ১৩ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১১৩। টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবথেকে বেশি সেঞ্চুরি রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড বাবর ও রিজওয়ানের। মোট ৫ বার দুজনে মিলে ১০০র বেশি রান তুলেছেন। উইকেটে থিতু হয়েই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন বাবর আজম। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৭০ রান করে উইসের বলে তিনি আউট হন। চলতি টি২০ বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি বাবর আজমের। বাবরের পাশাপাশি দুরন্ত ব্যাটিং করে মহম্মদ রিজওয়ান। শুরু দিকে মন্থর ব্যাটিং করলেও পরে জ্বলে ওঠেন। জেজে স্মিথের শেষ ওভারে রিজওয়ান তোলেন ২৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ৭৯ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ফকর জামান (৫) দ্রুত ফিরে গেলেও পাকিস্তানের বড় রানে পৌঁছতে অসুবিধা হয়নি। মহম্মদ হাফিজও শুরু থেকেই ঝড় তোলেন। অসমাপ্ত তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ওঠে ৬৭ (২৬ বলে)। হাফিজ ১৬ বলে করেন অপরাজিত ৩২। পাকিস্তান ২০ ওভারে তোলে ১৮৯/২। পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ১৮৯ রান তাড়া করে জেতা নামিবিয়ার পক্ষে শুধু যথেষ্ট কঠিন। জিততে গেলে অবিশ্বাস্য খেলতে হত। তা সম্ভব হয়নি। নামিবিয়াকে শুরুতেই ধাক্কা দেন হাসান আলি। শুরুতে ভ্যান লিঙ্গেনকে (৪) তুলে নেন। স্টিফেন বার্ড (২৯ বলে ২৯), ক্রেগ উইলিয়ামস (৩৭ বলে ৪০) কিছুটা লড়াই করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে নামিবিয়া তোলে ১৪৪/৫। ডেভিড উইসে ৩১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, হ্যারিস রউফ, সাদাব খান ১টি করে উইকেট পান।